ডেস্ক নিউজ
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে , দক্ষিণ-পশ্চিম লিবিয়ায় আবিষ্কৃত একটি গণকবরে অন্তত ৬৫টি মৃতদেহ রয়েছে বলে । গত সপ্তাহে গণকবরটি আবিষ্কৃত হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, গণকবরটি উন্মোচন করেছে লিবিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী।
আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, মৃত ব্যক্তিরা অভিবাসন প্রত্যাশী ছিলেন। করুণ এ মৃত্যুকে ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে বলা হয়, ওই ব্যক্তিদের মৃত্যুর সময়কার পরিস্থিতি ও কারণ অজানা রয়ে গেছে। তবে ধারণা করা যাচ্ছে, মরুভূমির মধ্য দিয়ে পাচারের সময় তারা মারা গেছেন।
২০১১ সালে ন্যাটোর হামলা ও এ পশ্চিমা ব্লক সমর্থিত বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে সংঘাতের পর ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন লিবিয়ার তৎকালীন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। এরপর গত এক দশকে দেশটির পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হয়েছে। এ সহিংস অস্থিতিশীলতার মাঝে মানব-পাচারকারীদের জন্য নিরাপদ ভূমিতে পরিণত হয়েছে লিবিয়া। পাচারকারী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ওপর নির্যাতনসহ নানা ধরনের অমানবিক কাজে যুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
লিবিয়া কর্তৃপক্ষ গণকবর নিয়ে তদন্ত শুরু করায় তাদের প্রশংসা করেছে আইওএম। মৃত অভিবাসীদের দেহাবশেষের ‘মর্যাদাপূর্ণ পুনরুদ্ধার, শনাক্তকরণ, স্থানান্তর নিশ্চিত এবং পরিবারকে অবহিত ও সহায়তা করার’ আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আইওএমের মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রজেক্ট অনুসারে, ২০২৩ সালে ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় রুটে কমপক্ষে ৩ হাজার ১২৯ অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন রুট বলে পরিচিত।