যারা গণতন্ত্রের জন্য চলমান সংগ্রামের বিরোধিতা করবে তারা গণদুশমন। আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে ’৭১ এর মতো শান্তি কমিটি গঠন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লে সবকিছুর দাম বাড়বে। বিদ্যুৎ উৎপাদন হোক বা না হোক ভারতের আদানিকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করে দেশকে ধ্বংসের শেষ সীমানায় নিয়ে গেছে।
দেশকে মুক্ত করতে হলে ক্ষমতাসীন সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে হবে বলে এ সময় উল্লেখ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। দেশের কথা চিন্তা করে মুক্তিযুদ্ধের মতো রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। এক্ষেত্রে যারা শামিল হতে পারবেন ভালো। আর যারা বিরোধিতা করবেন তারা একাত্তরের রাজাকারের খাতায় নাম লেখাবেন। একাত্তরে একটি ‘শান্তি কমিটি’ করেছিল ইয়াহিয়া খান। তখন যেখানে মুক্তিযোদ্ধা সেখানে শান্তি কমিটির উৎপাত। এখন আবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) আরেকটি ‘শান্তি কমিটি’ করেছেন। যেখানেই আমরা আন্দোলন করতে যাই সেখানেই এই ‘শান্তি কমিটি’ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আর এই শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গয়েশ্বর বলেন, আমার মনে হয় এখন মুক্তি বা মামলা প্রত্যাহারের দাবি আমাদের কাছে মুখ্য নয়। এই সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। সেই দাবিটাই আমাদের মুখ্য হওয়া দরকার। এই সরকারকে সরাতে হবে। তারপর একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রতিনিধির সমন্বয়ে নতুন সরকার গঠন করতে হবে।
Discussion about this post